
স্কাই নিউজের এক বিশেষ তদন্তে জানা গেছে, ইসরায়েল গোপনে গাজায় “পপুলার ফোর্সেস” নামের এক মিলিশিয়া গোষ্ঠীকে সহায়তা দিচ্ছে, যার নেতা ইয়াসির আবু শাবাব— যিনি আগে ছিলেন একজন চোরাচালানকারী ও লুটেরা। বর্তমানে তিনি নিজেকে যুদ্ধ-পরবর্তী গাজার শাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছেন।
তদন্তে দেখা যায়, এই গোষ্ঠী মার্কিন অর্থায়নে পরিচালিত “গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন” থেকে খাদ্য সহায়তা পাচ্ছে, যদিও ওই সংস্থা দাবি করে তারা নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে। একজন ইসরায়েলি সেনা সদস্য ও মিলিশিয়া কমান্ডার স্কাই নিউজকে জানিয়েছেন, ইসরায়েল কেরেম শালোম সীমান্ত পারাপার হয়ে এই গোষ্ঠীর কাছে নগদ অর্থ, গাড়ি ও অস্ত্র পৌঁছানোর অনুমতি দিচ্ছে। স্যাটেলাইট ছবি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভিডিওতে দেখা গেছে, মিলিশিয়াটি দক্ষিণ গাজায় বিলাসবহুল ভিলা, দামি গাড়ি ও নগদ টাকার স্তূপে ঘেরা অবস্থায় বসবাস করছে— যেখানে গাজার সাধারণ মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপে দিন কাটাচ্ছে।
একটি জাতিসংঘের গোপন প্রতিবেদনেও আবু শাবাবের গোষ্ঠীকে ত্রাণবহর লুট ও সিগারেট চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল। ইসরাইলি এক সেনা সদস্য জানিয়েছেন, এই সমন্বয় শিন বেট (ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা) এর মাধ্যমে হয়, এবং এতে সীমান্তে অবস্থানরত ইউনিট ৫৮৫-এর বেদুইন সেনারা যুক্ত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি ইসরায়েলের পুরনো “Divide and Rule (বিভক্ত করে শাসন)” কৌশলের অংশ— যাতে স্থানীয় গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করে হামাসকে দুর্বল করা ও গাজায় ইসরায়েলি প্রভাব বজায় রাখা যায়। যদিও “পপুলার ফোর্সেস” প্রকাশ্যে রাজনৈতিক লক্ষ্য অস্বীকার করে, তাদের নেতারা এখন গাজা শাসন, শিক্ষা সংস্কার ও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে গণভোট আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলছেন।
সূত্র: স্কাই নিউজ