
আবু আইমান, প্রহরী ডেস্ক
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বাতিল এবং বাধ্যতামূলক ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে উলামা-জনতা ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে এক শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩) বিকাল ৩টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শিশুদের নৈতিক ও ধর্মীয় ভিত্তি গঠনের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ধর্মীয় শিক্ষকের উপস্থিতি অত্যন্ত জরুরি। শুধুমাত্র সাংস্কৃতিক শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে ধর্মীয় শিক্ষাকে উপেক্ষা করা হলে আগামী প্রজন্ম মূল্যবোধ ও নৈতিকতায় দুর্বল হয়ে পড়বে।
বক্তারা সাম্প্রতিক প্রজ্ঞাপনকে জনগণের চেতনার পরিপন্থী আখ্যা দিয়ে বলেন, “গানের শিক্ষক নিয়োগের এই সিদ্ধান্ত জনগণের সেন্টিমেন্ট বিরোধী এবং এটি একধরনের সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বহিঃপ্রকাশ। এর মাধ্যমে পশ্চিমা মতাদর্শ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে ধর্মীয় চেতনা দুর্বল হবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে ধর্মহীনতা প্রসার লাভ করবে। একই সঙ্গে বক্তারা অভিযোগ করেন, স্কুল-কলেজের পাঠ্যক্রমে নৈতিকতা ও ধর্মীয় শিক্ষা বাদ দিয়ে অশ্লীলতা ও বিভ্রান্তিকর মতবাদ প্রবেশ করানোর ষড়যন্ত্র চলছে। বিশেষ করে এলজিবিটিকিউ মতবাদ প্রচারের মাধ্যমে তরুণ সমাজকে নষ্ট করার অপচেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন—
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
প্রশিক্ষিত ও স্বীকৃত আলেমদের ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে।
ধর্মীয় ও সাধারণ শিক্ষার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষায় একটি বিজ্ঞানসম্মত ও ইসলামসম্মত শিক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
মানববন্ধনে উপস্থিত উলামা-জনতা ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেন, এটি কেবল ধর্মীয় গোষ্ঠীর দাবি নয়, বরং সাধারণ জনগণের নৈতিক উন্নয়নের জন্য জাতীয় দাবি। তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “আমাদের দাবি অগ্রাহ্য করা হলে দেশব্যাপী আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”