আবু আইমান | প্রহরী নিউজ ডেস্ক
অবশেষে জনরোষ থেকে বাঁচাতে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে কুরআন অবমাননাকারী নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ‘অপূর্ব পাল’কে। শনিবার বিকেলের দিকে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে (Apurba Rad) বেশকিছু ভিডিও আপলোড করেন তিনি, যেখানে কুরআনকে জুতার নীচে পিষ্ট করা ও ছুঁড়ে ফেলা সহ লাথি দিতে দেখা যায় তাকে। পরে ভিডিওগুলো ভাইরাল হতে শুরু করলে চারিদিকে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষের দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। ফুঁসে উঠে ধর্মপ্রাণ মুসলিম সমাজ। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ ও প্রতিক্রিয়া। এর পর পরই জনরোষ থেকে বাঁচাতে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয় তাকে।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ‘উলামা-জনতা ঐক্য পরিষদ।’ একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ইন্ধনদাতাকে আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কারের দাবিও জানায় সংগঠনটি।
এদিকে কিছুদিন পূর্বে ক্লাসে হাদিস বলায় ড. নুর মোহাম্মদ মল্লিক নামের এক সিনিয়র শিক্ষককে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করে নর্থসাউথ কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে ইসলামি লেখক ও স্কলার আহমেদ রফিক নর্থসাউথকে ইসলামবিদ্বেষের সূতিকাগার বলেও উল্লেখ করেন। এছাড়াও ‘সাধারণ মুসলিম শিক্ষার্থী’ কর্তৃক আয়োজিত নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেইটে বেলা ১১টার ‘‘গণ অবস্থান’’ কর্মসূচীতে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদেরকে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।