
– আজিজুর রহমান আবদুল্লাহ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) হিজাব-নেকাবকে কটাক্ষ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী এবং চ্যানেল আইয়ের ক্যাম্পাস সাংবাদিক অনিন্দিতা সরকার প্রথা ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, //I’m not voting a bitch with no face. Dear women, “Chehra Dhak diya toh pehchan Dhak dia”-Laapataa ladies// এখানে মুখ ঢেকে পর্দা করা মেয়েদের কুকুরের সাথে তুলনা করে অবমাননা করা হয়েছে।
এবিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল আদন নুসরাত বলেন, ‘আপা, আমরা বিচ না। আর আপনার মতো হিজাববিদ্বেষী কিংবা কোনো এলজিবিটিকিউ সাপোর্টারের ভোট আশা করি আমাদের লাগবে না৷ মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখেন, অহেতুক ঘৃণা পুষে না রেখে।’
ছাত্র মজলিস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাকিব মাহমুদ রূমি বলেন, ‘বোরকা, হিজাব, পাঞ্জাবি, দাঁড়ি, টুপি নিয়ে কটাক্ষ করার দিন পেরিয়ে গেছে। অভ্যুত্থান আমাদের মানবিক মর্যাদার পাশাপাশি ধর্মীয় স্বাধীনতা ও শালীনতা ফিরিয়ে দিয়েছে। আগামীর বাংলাদেশে হিজাবী মানে সম্ভাবনাময়ী। টুপি, পাঞ্জাবি মানে নবউদ্যমের প্রতীক। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ছাত্রী হিজাবকে তাচ্ছিল্য করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে, তার মন্তব্যের প্রতি ধিক্কার জানাই। তাকে তার মন্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় সংগঠন চবিয়ান দ্বীনি পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু শিক্ষার্থীর মাঝে ইসলামবিদ্বেষী আচরণ দেখে আমরা শঙ্কিত। ইসলাম ধর্মের একটি সিম্বল পর্দা নিয়ে এমন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের পরও প্রশাসনের নীরবতা আমাদের বিস্মিত করেছে। আশা করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুতই এই ধর্ম অবমাননাকারীর বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর কানন স্যার এর সাথে মুঠোফোন এ যোগাযোগ করলে কাল প্রক্টর অফিসে যোগাযোগ করতে বলে।