
প্রতিবেদকঃ আজিজুর রহমান আবদুল্লাহ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩০০ একরের ক্যাম্পাসে ৯ টি অনুষদ ও শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে আনুষাঙ্গিক অন্যান্য ভবন রয়েছে। এক স্থাপনা থেকে অন্য স্থাপনা যথেষ্ট দূরত্বে অবস্থিত তাই শিক্ষার্থীদের যানবাহন ব্যবহারের প্রয়োজন হয় । সাধারণত ক্যাম্পাস এ অটো রিকশা, সিএনজি, ইজি বাইক ও টমটম চলাচল করতো এতদিন।
ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সহজ করতে গত মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট ২০২৫) সকাল ১০ টায় স্মরণ চত্বরে ই-কার সেবা উদ্বোধন করেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার।
ই-কার সেবা উদ্বোধনকালে উপাচার্য বলেন “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ই-কার সেবা চালুর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সহজ, নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন হবে। বর্তমান চবি প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ক্যাম্পাসে সুন্দর একাডেমিক পরিবেশ সৃষ্টিতে এবং শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সর্বোচ্চ সেবা প্রদানে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে। ইতোমধ্যেই ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দৃশ্যমান হয়েছে। আজ ই-কার সেবা চালুর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য আরও একটি সেবা যুক্ত হয়েছে। ই-কার সেবা গ্রহণের মাধ্যমে আমাদের প্রাণপ্রিয় শিক্ষার্থীরা সময়মতো ক্লাসে উপস্থিত হতে পারবেন। ই-কার চালকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ই-কার চালকরা আমাদের সম্মানিত ড্রাইভার। তারা লোকাল হোক বা যেই হোক, শিক্ষার্থীরা যেন তাদের সাথে সদয় আচরণ করেন এবং ড্রাইভার সাহেবরাও যেন শিক্ষার্থীদের নিজের সন্তান, ছোট ভাই-বোনের মতো মনে করেন। সবাই যেন এ সেবার সুবিধা নিতে পারেন”
অনুষ্ঠানে চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও ই-কার বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন, চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, চবি সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী, চবি অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হলের প্রভোস্ট এ. জি. এম. নিয়াজ উদ্দিন, চবি প্রক্টর প্রফেসর ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, চবি ছাত্র-ছাত্রী পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক ড. মো. আনোয়ার হোসেন, চবি বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আকতার হোসেন, চবি চাকসু কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান চৌধুরী, চবি নিরাপত্তা দপ্তরের প্রশাসক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আমান উল্লাহ, ই-কার বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অফিস প্রধান, কর্মকর্তা, কর্মচারী।
প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ৬টি ই-কারের মাধ্যমে এ সেবা প্রদানের যাত্রা শুরু হয়েছে। পরবর্তীতে আরও ই-কার সংযোজনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে এ সেবা বৃদ্ধি পাবে। ই-কারের ভাড়া সর্বনিম্ন ৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কিন্তু ভাড়া নিয়ে শিক্ষার্থীরা উদ্বেগ জানিয়েছে , যেখানে জিরো পয়েন্ট থেকে অন্যান্য ফ্যাকাল্টির ভাড়া সাধারণত ৮ টাকা সেখানে ই-কারে ভাড়া ১০ কিংবা ১৫ টাকা রাখা হয়েছে আবার ২ নং গেট থেকেও প্রচলিত ভাড়ার থেকে বেশি ভাড়া গুনতে হবে শিক্ষার্থীদের। অনেক শিক্ষার্থীর বক্তব্য চলমান আবাসন নিয়ে আন্দোলন প্রশমিত করার লক্ষ্যেই প্রশাসন ই- কার উদ্বোধন করেছে । আরো অনেকের অভিযোগ ই-কার প্রয়োজনে পাওয়া যায় না যেহেতু এটি ইলেকট্রিক চার্জে চলে এবং এর চার্জিং স্টেশন যাত্রী উঠার পয়েন্ট থেকে দূরে অবস্থিত।