
প্রহরী ডেস্ক, ০৫ আগস্ট ২০২৫
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গৌরবময় অর্জন রক্ষা, শহীদদের স্মরণ এবং ইসলামপন্থীদের প্রতি চলমান বৈষম্যের প্রতিবাদে রাজধানীর শাপলা চত্বরে আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে ইন্তিফাদা বাংলাদেশের আয়োজিত এক বিশাল গণসমাবেশ।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট ২০২৫) সকাল ১১টায় শুরু হওয়া এ গণসমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জুলাই আন্দোলনের সক্রিয় অংশগ্রহণকারী নেতৃবৃন্দ, দেশবরেণ্য ওলামায়ে কেরাম, পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবী, কবি-সাহিত্যিকসহ সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিবৃন্দ।
গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইন্তিফাদা বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা মীর ইদরীস। বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য আহমাদ রফিক, আসিফ আদনান, ডা. মেহেদী হাসান, ডা. শামসুল আরেফীন শক্তি, জাকারিয়া মাসউদ, সৈয়দ মুহাম্মাদ আমীর।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট আলেম মুফতী ফখরুল ইসলাম, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-প্রচার সম্পাদক মুফতী শরিফুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুস্তফা মনজুর, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ, মাওলানা আবদুল্লাহ আল মাসুদ, মাওলানা রিদওয়ান হাসান, মাওলানা নজরুল ইসলাম, মাওলানা তানজিল আরেফিন আদনান, মাওলানা ইমরান রায়হান, রাফিউজ্জমান, মাওলানা ফুআদ মুবতাসিম, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে এ ভূখন্ডের সকল গণআন্দোলনে ইসলামপন্থী জনতা রক্ত দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৪ এর গনঅভ্যুত্থানেও ইসলামপন্থীরা ব্যাপক অবদান রেখেছিলো। কিন্তু আফসোসের বিষয় গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে জনপরিসর থেকে ইসলামকে বাদ দেবার একটা সচেতন প্রচেষ্টা পরিরক্ষিত হচ্ছে। সংস্কার কমিশনগুলোও ধর্মীয় ও সামাজিক মূলবোধ বিরোধী নানা এজেন্ডা নিয়ে হাজির হয়েছে।
বক্তারা হতাশা প্রকাশ করেন বলেন, ভারতের আধিপত্যবাদ থেকে মুক্ত হয়ে আমেরিকান আধিপত্যবাদ কবুল করেছে ইন্টেরিম সরকার। জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিবাদ জানান বক্তারা। তাছাড়া, গণঅভ্যুত্থানের স্টেইকহোল্ডারদের নামে মিথ্যা জঙ্গি মামলা সাজানোর প্রতিবাদ জানান তারা।
সমাবেশ থেকে দাবি জানানো হয়,
১। লীগের খুনিদের বিচার প্রক্রিয়া বেগবান করতে হবে।
২। আলেপসহ প্রসাশনের সকল খুনি ও ধর্ষকদের বিচার করতে হবে।
৩। ইসলামপন্থীদের হয়রানি মূলক জঙ্গি নাটকের সাজানো বন্ধ করতে হবে।
৪। ইসলামবিরোধী সংস্কার বাতিল করতে হবে।
৫। জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
বার্তা প্রেরক:
ডা. মেহেদী হাসান
প্রেসিডিয়াম সদস্য, ইন্তিফাদা বাংলাদেশ